পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নবীন দীপ্ত ২০২১ সালের আগষ্ট সংখ্যার পিডিএফ ডাউনলোড

ছবি
নবীন দীপ্ত ২০২১ সালের আগষ্ট সংখ্যার পিডিএফ ডাউনলোড

সাগর এবং মানুষ - মোহাম্মদ সায়েম

ছবি
সাগরে এক শিশুর জুতা হারিয়ে গেল। সাগরের তীরে শিশুটি লিখলঃ '' এই সাগর চোর" । তার নিকটেই এক ব্যক্তি মাছ শিকার করছিলেন। সেদিন তিনি অনেক মাছ শিকার করতে পেরেছিলেন। তিনি সাগর তীরে লিখলেনঃ "এই সাগরটি দানশীল" । একদিন এক যুবক সাগরে মৃত্যুবরণ করল। সন্তানহারা মা সাগরের তীরে লিখলেনঃ "এই সাগর হত্যাকারী " । এরপর জোয়ার আসে। সাগরের ঢেউ এসে তার তীরের সকল লেখা মুছে দেয়। আপনি যতই চেষ্টা করেন , কিছু মানুষকে আপনি কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। আপনি যদি তাদের   জন্য হাতের দশটি আঙুলকে মোম বানান , তাহলে তারা আপনাকে বলবে , আলো এমন নিভু নিভু কেন ?? যদি আপনি তাদের জন্য পাহাড়ে সুঁই দিয়ে সুড়ঙ্গ খনন করেন , তাহলে তারা বলবে এত দেরি করলে কেন ?? যদি আপনার চোখের পাপড়ি দিয়ে তাদের রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে দেন , তাহলে তারা বলবে , তুমি এটা আরো ভালোভাবে করতে পারতে!! ভাই! মানুষ এমনই , এমনই ছিল , ভবিষ্যতে এমনই থাকবে। তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে নিজেকে ক্লান্ত বানাবেন না। সকলকে সন্তুষ্ট করাটাকে নিজের লক্ষ্য বানাবেন না। আপনি এই লক্ষ্য পর্যন্ত কখনো পৌঁছাতে পারবনে না। জীবনের এই ক্ষেত্

অহংকার - মাসউদুর রহমান

ছবি
জীবন ধ্বংসকারী একটি মারাত্মক স্বভাব হলো অহংকার। এই স্বভাবের লোকেরা তাদের উন্নতি ও সফলতা বেশিদিন ধরে রাখতে পারে না। আত্মীয়-স্বজন ও কাছের মানুষদের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলে। তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠান , সমাজ , সংগঠন , রাষ্ট্র এমনকি নিজ পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাসুল (সা.) তিনটি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে মানুষকে সাবধান করেছেন। সেগুলো হলো , প্রবৃত্তির পূজারি হওয়া , লোভের দাস হওয়া এবং অহংকারী হওয়া। তিনি বলেন , এটিই হলো সবচেয়ে মারাত্মক। (মিশকাত , হাদিস : ৫১২২) এখানে অহংকারের কিছু নিদর্শন বর্ণনা করা হলো — শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করাঃ _ সবার কাছে নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা , অন্যকে তুচ্ছ ভাবা ধ্বংসের কারণ। ইবলিস সর্বপ্রথম নিজেকে বড় মনে করেছিল। যার কারণে মহান আল্লাহ তাকে অভিশাপ দিয়েছেন। আদম (আ.)-কে সিজদা দেওয়ার নির্দেশের বিরোধিতায় সে আল্লাহকে যুক্তি দেখিয়েছিল , ‘ আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আদমকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। ’ ( সুরা : আরাফ , আয়াত : ১২) । অতএব , ‘ আমি কি তাকে সিজদা করব , যাকে আপনি মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন ?’ ( সুরা : ইসরা , আয়াত : ৬১) এই অহংকারের শাস্তিস্বরূপ

দেয়াল - মোসাঃ আনিকা তাহসিন

ছবি
একদিন এক কলেজে প্রচন্ড ভূমিকম্প হলো । আর এই ভূমিকম্পে আশেপাশের অনেক বিল্ডিং ধ্বসে পড়তে লাগলো । সেই কলেজের ভবনগুলোয় বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হলো। তাই সেই কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ছেড়ে প্রায়ই সকলেই চলে গেল । এখানে একসাথে চারজন বান্ধবী পড়াশোনা করে । তারা কাছেই কলেজের একটি ছাত্রাবাসে থাকে। যেহেতু তারা অনেক দূরের গ্রাম থেকে লেখাপড়া করতে এসেছিলো , তাই তারা আর কলেজ ছেড়ে যাওয়া হয়নি। কারণ সেখান থেকে চলে গেলে থাকবে কোথায় ? এক রাতে তারা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সে সময় হঠাৎ সীমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। সে দেখতে পেল , ওয়াসরুমের টিউব কলটি থেকে একা একা পানি পড়ছে। অথচ কলটা খুব শক্তপোক্ত । সে ভাবলো , কেউ হয়তো   কলটা ভালোভাবে বন্ধ করেনি , তাই পানি পড়ছে। সে উঠে গিয়ে কলটি ভালোভাবে বন্ধ করে আসলো । কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারো শুনতে পেল কল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে। সে তখন ভয়ে জড়সড় হয়ে গেল। সাথে সাথে অন্য বান্ধবীদের ডেকে তুলে বললো , ‘ দেখ দেখ! এই কল থেকে কেন যেন নিজে নিজেই পানি পড়ছে ’ । তাদের মধ্য থেকে রীমা বললো , ‘ ব্যাটা অকর্মার ঢেঁকি ! এত কম বুদ্ধি নিয়ে কি কেউ চলে ? ‘ আরে কল থেকে পানি পড়ছে , তা কলটা বন্ধ করে দিলেই ত

সেই দিনটি - মোসাঃ আয়েশা সিদ্দিকা মেহনাজ

ছবি
  তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি । একদিন আমরা চারজন ক্লাসমেন্ট মাদরাসার নিচ তলায় পড়তে গিয়েছি । দিনটি ছিল বুধবার । আমরা ক্লাস শেষে নিচ তলায় গেলাম। কোনো এক কারণে আমরা সবাই তখন আতঙ্কিত ছিলাম। আমরা সাধারণত থাকতাম তিন তলায়। তাই আমরা যখন সিঁড়ি দিয়ে নামছি , সে সময় হঠাৎ করেই কারেন্ট চলে যায় । আর সিঁড়ির জায়গাটা অন্ধকার হওয়ায় সেখানে দিনের বেলায় ও লাইট জ্বালানো থাকতো । কারেন্ট যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা অনেক ভয় পেয়ে গেলাম । এরই মধ্যে আমাদের সহপাঠী হাবিবার মাথা ঘুরিয়ে উঠলো । আমরা সাথে সাথে তাকে ধরলাম । কিন্তু এরই মধ্যে কারেন্ট এসে আবার চলে গেল । এরপর থেকে আমরা হাবিবাকে পাচ্ছিলাম না । তখন নীচ তলায় কোনো শিক্ষকও ছিল না । আমরা সবাই অনেক জোরে চিৎকার দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে আবার কারেন্ট চলে এলো।তখন দেখলাম , হাবিবা আমাদের পাশেই দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । এরপরে আমরা আর এক মুহুর্তও সিঁড়িতে না দাঁড়িয়ে নীচ তলায় চলে এলাম । নীচে এসে আমরা পড়তে বসলাম । সবাই ক্লান্ত , এই ক্লান্তি দূর করতে ওয়াশরুমে গেলাম ওজু করতে । এতে সওয়াবও হবে আবার হাত-মুখ ধোয়াও   হবে । কিন্তু আমরা অজু করে এসে দেখি , নীচ তলায় কেউ নেই । আমি

জীবনের প্রথম ব্যবসা - মাসরুর ইহসান

ছবি
  মানুষের জীবনে প্রথমবার ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা বা প্রথমবার সম্পাদিত অনেক কাজ আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকে । আমার জীবনেও এমন কিছু স্মরণীয় ঘটনা আছে । যা আমাকে স্মৃতিকাতর করে তোলে । এসব ঘটনার মধ্যে যেমন আছে আনন্দ-বেদনার স্মৃতি তেমনই আছে রোমাঞ্চকর কিছু স্মৃতি । যখন আমি কলম ধরলাম তখন আমার জীবনের প্রথম দিকে ঘটে যাওয়া অসংখ্য স্মৃতি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে । জীবনের প্রথম লেখা , প্রথম বক্তৃতা , প্রথম ভূত দেখা , প্রথম চশমা পড়া , প্রথম দেশে সফর করা , প্রথম বিদেশে সফর করা , প্রথম ছিনকাইকারীর কবলে পড়া , পরিবারের প্রথম কারো মৃত্যুসহ আরো অনেক আনন্দ-বেদনার স্মৃতি আমার মাথায় কিলবিল করছে । কিন্তু সবকিছু তো এখন লেখা সম্ভব নয় । আবার অনেক কিছু বর্ণনা করা সম্ভবও নয় । তাই ভাবছি , বাছাইকৃত কিছু ঘটনা আজকে উল্লেখ করবো । প্রথম ব্যবসা । আমার জীবনের প্রথম ব্যবসা হলো বন্ধুদের সাথে মিলে ভাতের ব্যবসা । এটি ২০১৩ সালের ঘটনা । তখন আমি বাড্ডায় থাকতাম । মাদরাসার ছোট-বড় সবার সাথেই আমার খাতির ছিল । বড় ভাইদের মধ্যে একজন ছিলেন পাক্কা বাবুর্চি । তার রান্নার বেশ সুনাম ছিল । পড়ালেখা করা অবস্থাতেই তিনি বড় বড় অ

স্বপ্ন - ফাতেমা উম্মে হাবিবা

ছবি
‘ রিমা , কি করছো ?’ বলে উঠলো সামিয়া । রিমার হুশ ফিরলো এতক্ষণে। সে পুতুল নিয়ে খেলছিল । রিমা সামিয়াকে দেখে বললো , ’ আপু , তুমি আবার কখন আসলে ? এ সময় না তোমার স্কুলে থাকার কথা ?’ সামিয়া মুচকি হেসে বললো , ’ আজকে শুক্রবার , জানো না ?’ ’ নাহ , ভুলেই গিয়েছিলাম । ’ ’ ও আচ্ছা , কিন্তু কেন যে এখানে এসেছি , মনে করতে পারছি না । ’ বললো সামিয়া । ” ও হ্যাঁ , মনে পড়েছে । তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দিতে এসেছি । ” এ কথা শুনে রিমা খুব খুশী হলো এবং পুতুলগুলো গুছিয়ে রেখে দিলো । রিমা বললো , ‘ কি সারপ্রাইজ আপু ?’ সামিয়া বললো , ‘ দুপুরে আমরা নদীর পাড়ে যাবো । কথাটা শুনে রিমা খুশিতে লাফিয়ে উঠলো । কিছুক্ষণ পর নীল আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কালো আকাশে রুপান্তরিত হলো । প্রচন্ড বাতাসের কারণে ঘরের বাহিরে যাওয়া যাচ্ছিলো না। বর্ষাকালে এই এক অসুবিধা । বলা নেই , কওয়া নেই , ঝঁপ করে বৃষ্টি নেমে পড়ে । তখনি হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর পাশাপাশি প্রচণ্ড জোরে একটা বাজ পড়লো। ঘরের সবাই ভয় পেয়ে গেল । রিমা বৃষ্টির সময় কখনো জাগ্রত থাকে না । যখনি বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব তখনি সে ঘুমিয়ে পড়ে । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো , সে ঘুমিয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে

বৃত্তের বাইরে - মো: ওয়ালিউল হাসান

ছবি
প্রকৃতিতে এমন একটা সময় আসে , যখন গাছে গাছে নতুন কলি গজায় , ধীরে ধীরে সেগুলোর বয়স বাড়তে থাকে।এরপর এমন একটা সময়ও আসে , যখন পাতার সবুজ আভা চলে যায়।সেখানে ভর করে জীর্ণতা-বিবর্ণতা।পাতা হারায় তার রুপ-সজীবতা।ঝরতে থাকে পাতা।একসময় গাছ এতটাই পাতাশূন্য হয়ে পড়ে , দেখতে ন্যাড়া মাথা যুবতির মত লাগে।গাছের এই রূপ ভাবুক পথিকের মনে জন্ম দেয় গভীর বিষাদের।কিন্তু গাছের এই বিবর্ণতা এই হাহাকার বেশিদিন থাকেনা।একসময় গাছে গাছে আবার কুঁড়ি আসে , নতুন পাতা গজায়।প্রকৃতি সাজে নবরূপে , এতটাই নিখুঁতভাবে , দেখলে মনেই হবেনা , এটা একসময় পাতাশূন্য ছিল।মানুষের জীবনটাও ঠিক এমনই।মানুষের জীবনেও এমন জীর্ণতা-বিবর্ণতা , এমন হাহাকার আর খাঁ-খাঁ শূন্যতা আসে।সে শূন্যতায় হাল না ছেড়ে , শূন্যতাকে পূর্ণতায় বদলে দেয়ার চেষ্টা করাই একজন সত্যিকার বুদ্ধিমান ব্যক্তির কর্তব্য।হয়তো সে অসীম শূন্যতা পুরোপুরি পূর্ণ হবেনা।কিন্তু , কিছুটা তো হবেই...! তাতেই বা মন্দ কি.. ? । প্রচণ্ড পিপাসার্ত ব্যক্তি তো শুভ্র বরফ-শীতল পানি কামনা করেনা , সে চায় পান করার উপযুক্ত একটুখানি জল।তা পেলে সে ভাবে এ তো স্বর্গীয় শরাব।মাঝ সাগরে ডুবন্ত ব্যক্তি তো বিলাসবহুল কোন

গাছের পাতা - মোসা. আমেনা হালিমা সাদিয়া

ছবি
অনেকদিন আগের কথা । আমি আর আমার বন্ধু আমার নানার বাড়ি গিয়েছিলাম । আমার নানার একটা মুরগী ছিল । আমি সেটাকে ধরতে গেলাম । তখন সেই মুরগীটি পালিয়ে গেল । এরপরে নানা বললেন , তুমি যেহেতু সর্বপ্রথম মুরগি ধরেছো , তাই মুরগীটি ভয় পাচ্ছে । আমি এরপর দেখলাম , মুরগীর পাশে একটা ছাগল ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছে । আমি নানাকে জিজ্ঞাসা করলাম , নানা! ছাগল কী খায় ? নানা মুচকি হেসে বললেন , ' ছাগল কাঁঠাল পাতা খায় ' । কিছুদিন পর আমরা নানাবাড়ি থেকে চলে আসি। তখন আমি আমার বড়বোনকে বললাম , আপু আমি আমার নানাবাড়িতে দেখেছিলাম , ছাগল লতা-পাতা খায় । তখন আমার বন্ধু মীম বললো , তো কি হয়েছে ! আমার ঘরেও তো ছাগল আছে । আমাদের ঘরে একটা বিড়ালও আছে । আমি তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম , বিড়াল কী খায় ?   মীম বললো ,' বিড়াল কাঁটা , দুধ , মাছ খায় ' । একদিন আমি বাসার ছাদে গেলাম । দেখি আমার টবে ফুল ফুঁটেছে । তখন আমি একটি ফুল ছিঁড়ে নিলাম । মীম এটা দেখে আমাকে বললো , ' তুমি কি ফুলের সাথে পাতাও ছিঁড়েছ ' ?   আমি বললাম , ' হ্যাঁ ' ।   মীম তখন বললো , তুমি কি জানো না , গাছ পাতা ছিঁড়লে কষ্ট পায় ? আমি বল