পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইচ্ছেপূরণ - আব্দুর রহমান আল হাসান

ছবি
  সালমানের বড় ইচ্ছা , সে আলেম হবে। কিন্তু সে তো স্কুলে পড়ে । বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার হবে । তার ইচ্ছা সে আল্লাহকে চিনবে । সে রাসূলের সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবে । গত তিনদিন আগে তার এলাকায় তাবলীগ জামাতের সাথিরা এসেছিল । কি সুন্দর তাদের চলাফেরা । বড্ড ইচ্ছা করে তাদের সামনে বসে থাকতে । এমন প্রশান্তি সে আগে কখনো অনুভব করে নি । আজকে ফজরের পর যখন তারা চলে যাবে সে তখন তাদের আমীর সাহেবকে বলেছিল , হুজুর , আমি কি কোরআন বুঝতে পারবো ? উক্ত মাওলানা সাহেব মিষ্টি করে হেসে বলেছিলেন , কেন নয় ? চেষ্টা করো । সফলতার মালিক আল্লাহ । তারপর সেই ব্যাক্তিরা চলে গেল । সালমান আবার স্কুলে আসা-যাওয়া শুরু করলো । তার বাবা জামিল সাহেব একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করেন । গত কিছুদিন ধরেই সালমান লক্ষ করছে , তার বাবা আগের মতো নামাজ পড়ে না । নামাজের সময় হরে তিনি কেমন যেন আত্মগোপনে থাকেন । মসজিদে নামাজ শেষ হয়ে গেলে আবার দিব্যি চলাফেরা করেন । বিষয়টা সালমানকে ভাবিয়ে তুলে । কিন্তু কিভাবে সে জানতে পারবে , তার বাবার কি হয়েছে ? বুদ্ধি করে সে তার আম্মুকে বললো , মা আমি তো চাই আল্লাহকে চিনতে এবং রাসূলের আদর্

মুহব্বত কাকে বলে ? - মোহাম্মাদ সায়েম

ছবি
একবার এক হাকিমকে জিজ্ঞাসা করা হলো , যারা মুহব্বতের কথা বলে এবং যারা বলে না , তাদের মাঝে পার্থক্য কি ?         হাকিম তাদের বললেন , তোমরা অচিরেই তা দেখতে পাবে। এরপর একদিন হাকিম তাদের একটা ওলিমায় দাওয়াত দিলেন। প্রথমত তাদের দিয়ে শুরু করলেন যারা মুখ দিয়ে কখনো মুহব্বতের কথা বলেনি , এবং যাদের অন্তরেও মুহাব্বতের ছিটাফোঁটাও নেই। অতঃপর স্যূপ নিয়ে এসে তাদের পাত্রে ঢাললেন এবং সকলকে দিলেন এক মিটার লম্বা চামচ। সেই সাথে তাদের শর্ত দিয়ে দিলেন যে , এই লম্বা চামচ দিয়ে খেতে হবে। তারা অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু কেউই মাটিতে ফেলা ছাড়া স্যূপ মুখে দিতে পারল না। তারা সেদিন ক্ষুধার্তই রয়ে গেল। এরপর হাকিম বললেন , এবার দেখ। তখন এক - ই দস্তরখানে তাদের ডাকলেন যারা তাদের অন্তরে মুহব্বতকে ধারণ করতো। তাদেরকেও সেই আশ্চর্যজনক চামচ দিলেন। তারা সকলেই চামচ ভর্তি স্যুপ নিয়ে তার পাশের জনকে এগিয়ে দিল। এভাবে তারা সকলেই তৃপ্ত হলেন। তখন হাকিম সাহেব দাঁড়িয়ে সভার সকলের উদ্দেশ্যে তার হিকমতের একটি কথা বললেন , "জীবন দস্তরখানে যে শুধু নিজেই তৃপ্ত হওয়ার চিন্তা করে সে ক্ষুধার্তই রয়ে যায়। আর যে তার ভাইকেও তৃপ্ত করার চিন্তা

আম - ফাতিমা উম্মে হাবিবা

ছবি
  আম আমি খাই , মামা বাড়ি যাই । মামার বাড়ি যেয়ে , আম খাই গান গেয়ে । মামা বললেন আম খাবা , মামনি বললেন আম নিবা ? । আমি বললাম আম খাব , সবার জন্য আম নিবো । মামা দিলেন আম , সাথে দিলেন কালো-জাম । আমগুলো খুবই মিষ্টি , আমের দিকে তাকিয়ে থাকে শুধুই দৃষ্টি ।

বিদ্যা - আয়েশা সিদ্দিকা মেহনাজ

ছবি
মায়ের দোয়া বাবার হাসি , বিদ্যা আমি ভালোবাসি । কলম তুমি চলতে থাকো , বিদ্যা তুমি মাথায় রাখ । আল্লাহ তুমি মেহেরবান , বিদ্যা আমায় কর দান ।

কাজের মেয়ে - হেমায়েত উদ্দীন বিন আব্দুল্লাহ

ছবি
ছোট্ট এই জীবনে মানুষ কত কিছু দেখে , কতকিছুর সম্মুখীন হয় , তার কোন ইয়ত্তা নেই। শিক্ষা-জীবনে আমার একজন উস্তাদের মুখে শুনেছি , জাহেলী যুগের দাস-দাসীদের নানান নির্যাতনের কথা । পড়েছি তাদের দুঃখ-দুর্দশার বিভিন্ন উপাখ্যান । ইসলাম রাজা-প্রজা , গোলাম-মুনিব সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যদিও বিংশ শতাব্দীর পূর্বেই দাস প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। বর্তমান সমাজ দেখলে মনে হয় , ইতিহাসে পড়া জাহেলি যুগের দাস প্রথার ডিজিটাল সংস্করণ হচ্ছে , কাজের বুয়া বা গৃহস্থকর্মী। দৈনিক খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে গৃহকর্মী অকল্পনীয় নির্যাতনের বাস্তব চিত্র । বাংলাদেশ থেকে শুরু করে আরব দেশগুলোও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই এই নির্যাতনের অমানবিক প্রতিযোগিতায়। অথচ এই আরব-ভূ-খন্ডেই আবির্ভূত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সা. । যিনি সমাজ থেকে সকল বৈষম্য ও অমানবিকতাকে বিদূরিত করে দিয়ে গিয়েছেন ।   গত কয়েক দিন আগে আমাদের পাশের বাসা থেকে চলে যেতে হল একটি মেয়ের , যার নাম ' মিতু ' । যে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। বয়স ১১ বা ১২ র বেশি হবে না । গাইবান্ধার কোনো এক গ্রামে তার জন্ম। ঘরে তার

চেষ্টা- কোরআন হাদীসের কথা

ছবি
  চেষ্টা মানব জীবনের এক অবিচ্ছন্ন অংশ । প্রত্যেকটি   কাজের   জন্য   চেষ্টা প্রয়োজন। চেষ্টা ব্যতিত   কেউ   সফল   হতে   পারে   না । আমাদের আশেপাশে যখন কোথাও আগুন লাগে তখন আমরা   দেখতে   পাই , সকল   মানুষ   এবং   ফায়ার   সার্ভিসের কর্মীরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুন নেভানোর   জন্য । যত   তাড়াতাড়ি   আগুন   নেভানো   যায় , তত   ক্ষয়ক্ষতি   কম হয় । কেউ যদি নিজের   উদ্দেশ্য   সাধনের   জন্য   সর্বদা   চেষ্টা   করে যায় , তাহলে সে একদিন তার লক্ষ্যে সফল হবেই । আল্লাহ কোরআনে সূরা আম্বিয়ার ৯৪ নং আয়াতে বলেন , ” কেউ   যদি মু ’ মিন   হয়ে সৎ কাজ করে , তবে তার প্রচেষ্টা অস্বীকার করা হবে না , আমি তা তার জন্য লিখে রাখি । ” যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো   সৎকাজের নিয়্যত করবে , সে তার প্রতিদান দুনিয়াতে পাবে । আর আখেরাতে তো রয়েছে অফুরন্ত নেয়ামতের ভাণ্ডার জান্নাত । হাদীসে এই চেষ্টা সম্পর্কে অনেক ঘটনা আছে। তার মধ্যে একটা উল্লেখ করছি । আবূ   সাঈদ   (রহঃ)   থেকে   বর্ণিত : তিনি   বলেন , নবী   (সাল্লাল্লাহু ‘ আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল   সাহাবী   কোন   এক   সফরে যাত্রা   করেন।   তারা   এক   আরব   গোত্রে   পৌঁছে

সম্পাদকীয়

ছবি
দিন জুড়ে বৃষ্টি আর মেঘের একচ্ছত্র আধিপত্য। তেজস্বী রবিরশ্মির আলোকবিভাও বড্ড ম্লান। তবে সময়ে-সুযোগে উঁকি দিয়ে তার অস্তিত্বের কথা জানান দেয় সে। খাল-বিল নদী-নালা জলের প্রতুলতায় টাইটুম্বুর। বৃক্ষলতা পূর্ণ সজীবতা নিয়ে সাজে নতুন রূপে। মৃত নদীর কোলে জোয়ার উঠে , ফিরে পায় তার হারানো যৌবন। খাল-বিল ও পুকুরের রূপ রস আর সৌন্দর্য্য নিয়ে দৃষ্টি জুড়ায় শাপলা — পদ্মফুল। বৃষ্টিজলে আবগাহনে মনে জেগে ওঠে অফুরান আনন্দের শিহরণ। টিনের ঘরে শুনতে পাওয়া যায় বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দ। যে ছন্দে কারো হৃদয়ের মণিকোঠায় অনুভূত হয় বিরহ-যাতনা , কিংবা কারো হৃদয়ে প্রস্ফুটিত হয় ভালোবাসার নতুন অঙ্কুর , কিংবা কারো হৃদয়ে জাগে রোমাঞ্চ! তবে বর্ষার সাথে ভালোবাসার একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। তাই একে প্রেম বিরহ ও সৃজনক্রিয়ার ঋতু অভিধায় আখ্যায়িত করা হয়েছে। কবি – লেখকরা সকলেই বর্ষা-বন্দনায় আপ্লুত হয়েছেন। তাইতো দেখা যায় , এই ঋতু নিয়ে কোনো পঙক্তি লেখেনি এমন কবি-লেখক পাওয়া দুষ্কর। বর্ষা নিয়ে মহাকবি কালিদাস রচনা করেছে বিখ্যাত মহাকাব্য ' মেঘদূত ' । এছাড়াও বৈষ্ণব পদাবলীতেও বিরহের সঙ্গে বর্ষার নিবিড় একটি সম্