পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোদেলা বাদল

ছবি
• আল আমীন চৌধুরী আকাশ হতে লক্ষ ফোঁটা এলো বুঝি নেমে,  রোদের আলোয় বসুন্ধরা হাসছে থেমে থেমে। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে সাথে কোমল রোদ,  হৃদয় আমার উছলে উঠে জাগে কবির বোধ। সবুজ ঘাসের হাসি দেখে মুগ্ধ হয়ে থাকি,  টিনের চালের ছন্দে গাইছে দোয়েল পাখি। নদীর বুকে লাফিয়ে মাছেরা জানায় খুশির কথা, গাছগুলো তাই বড্ড খুশি জড়িয়ে ধরছে লতা। ছেলেরা আজ খেলছে বল বৃষ্টিভেজা মাঠে, অনেকে আবার করছে গোসল আনন্দে মেতে উঠে। মেয়েরা ঘরে করছে গল্প কেউ বা বুনছে কাঁথা,  জানালা দিয়ে মারছে উঁকি শহুরে মেয়েদের মাথা। হৃদয়তন্ত্রে ভর করেছে হাজারো উথলা সুর,  চিত্তে আমার জাগায় আবেগ বর্ষার ধ্বনি সুমধুর। ভাবো দেখি এত মধুর সৃষ্টি যদি হয়,  স্রষ্টা তবে কত নিপুন কত মহিমাময়।।

আজ মুসলিম উম্মাহ কার খোঁজে?

ছবি
রুহুল আমীন আজ সারা বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ নিপীড়িত, নির্যাতিত,নিগৃহিত। মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি জনপদ তাদের-ই রক্তে রঞ্জিত। প্রতিটি মুসলিম উম্মাহর জনপদ থেকে ভেসে আসে আর্তনাদ ও আত্মচিৎকার। মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি প্রাণ হিংস্র জানোয়ারদের ভয়ে শঙ্কিত। এহেন মুহূর্তে নেই কোনো রাহবার। প্রতিদিন সূর্যদয় এর সাথে সাথে ক্ষীণ হয়ে আসে তাদের প্রাণ। তারা আকাশপানে তাকিয়ে থাকে এতুটুকু সাহায্যের আশায়। তাদের মুখ থেকে অজান্তেই বেরিয়ে আসে, আমাদের মাঝে কবে সেই ছেলে হবে, যে আমাদের এই বিভিষিকাময় নির্যাতন থেকে উদ্ধার করবে। যে আসবে সিন্ধু বিজেতা মুহাম্মাদ বিন কাসেমের ন্যায়। যে এসেছিল মায়ের কোমল কোল থেকে,এরাবিয়ান ঘোড়ায় চড়ে। এক মুসলিম বোনের আত্মচিৎকারে পুরো সিন্ধু জয় করেছিলেন তিনি। যে আসবে স্পেন বিজেতা তারেক বিন যিয়াদের মতো, উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে। যার আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে কেঁপে উঠেছিল রডারিক বাহিনীর আত্মা। যিনি পবিত্র করেছিলেন স্পেনের ভূমিকে। যে আসবে প্রাচ্য বিজেতা কুবাই বিন মুসলিমের ন্যায়। যে এসেছিল বসরা থেকে কাফের অমুসলিমদের আল্লাহর বিধি-বিধান শিক্ষা দিতে। যার অগ্নিঝড়া বক্তব্যে শত শত, হাজারো-হাজারো মুসলিম উদ্ভুদ

নবীন দীপ্ত। বর্ষ ১। সংখ্যা ১। অক্টোবর ২০১৮

ছবি
  নবীন দীপ্ত 'নদী' এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় অক্টোবর ২০১৮ তে। সেটার সকল লেখা গুলোর লিংক একসাথে করা হলো। * সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়টি এই লেখার উপর ক্লিক করে পড়তে পারবেন * গল্প ১। শহীদের মেয়ে। আব্দুস সালাম শাকিব ২। পিতা-মাতার ঋণ। যুবায়ের আহমাদ। * কবিতা ১। রোদেলা বাদল। আল আমিন চৌধুরী *ইতিহাস ১। লালবাগ কেল্লা, স্মৃতিময় এক ঐতিহ্য। আব্দুর রহমান আল হাসান * প্রবন্ধ ১। এমন একটা সমাজ চাই। ইয়াছিন নিজামী ইয়ামিন ২। 'নদী'র পূর্বকথা। আব্দুর রহমান আল হাসান ৩। আজ মুসলিম উম্মাহ কার খোঁজে। রুহুল আমিন

পিতা-মাতার ঋণ

ছবি
যুবায়ের আহমাদ ( কামরাঙ্গীরচর ) শান্ত ভদ্র এক ছেলে । ব্যস্ত জীবন কাটলে পিতা - মাতার প্রতি খুব খেয়াল রাখে । যখন যা প্রয়োজন তা এনে দেয় । ছেলেটা পেশায় একজন ব্যবসায়ী । সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকে । সবার মুখে ছেলেটির প্রশংসা । ছেলেটি পিতা - মাতার খুব অনুরাগী । সবার মুখে তার প্রশংসা দেখে সে ভাবলো , আচ্ছা আমি যে তাদের জন্য এত কিছু করছি , তারা কি আমার শিশুকালে   আমার জন্য এত কিছু করছে । এ কথা সে মনে চেপে না রাখতে পেরে বাবাকে   বললো , বাবা ! আমি তোমার ঋণ পরিশোধ করতে চাই । তোমরা শৈশবে আমার জন্য যেই কষ্ট করেছ , আমি তার ঋণ শোধ করতে চাই । পিতা ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান । বুঝতে পারলেন , ছেলে ভুলের মধ্যে রয়েছে । তাই যা করতে হবে কৌশলেই করতে হবে । পিতা বললেন , ঠিক আছে । তুমি চেষ্টা শুরু করো । এমনিতেই তো আমাদের জন্য তুমি অনেক কিছু করেছ । তখন ছেলে বললো , বলো তো বাবা , তোমার এখন কি খেতে ইচ্ছে করছে ? বাবা বললেন , তেমন কিছু নয় । তবে পেয়ারা খেতে ইচ্ছা করছে । ছেলে মনে মনে ভাবলো , এ আবার এমন কঠিন জ

এমন একটি সমাজ চাই

ছবি
  ইয়াছিন নিজামী ইয়ামিন আমরা সকলেই এমন একটা সমাজ চাই , যেখানে আমাদের পরিবার প্রয়োজন , সন্তান সন্তুতি এবং কষ্ঠেরার্জিত সম্পদ নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হবে না । এমনটা আশা করা কোনো কল্পনাবিলাস নয় । কেননা আমাদের পূর্বের ইতিহাস দেখলে তা স্পষ্ট হবে । আমাদের পিছনে রেখে আসা দিনগুলোতে তা ছিল প্রতিদিনকার সত্য । হযরত উমর ফারুক রা . যখন খলিফা তখন মুসলিম রাজ্যের সীমানা ছিল তেইশ লক্ষ বর্গকিলোমিটার । এতো বড় রাজ্যের অধিপতি ছিলেন তিনি । একবার তৎকালীন যুগের পরাশক্তি রোমের এক রাষ্টদূত এলো মদীনায় । একজনকে জিজ্ঞাসা করলো । তোমাদের রাষ্ট্রপতির বাসভবন কোথায় ? সে ব্যক্তি বললো , আামাদের রাষ্ট্রপতি উমর , তার বাসভবন নেই । যদি   তার কাছে কোনো কাজে এসে থাকেন , তাহলে এই পথ দিয়ে সামনে যেয়ে খুজুন , হয়তো পেয়ে যাবেন । কিছুক্ষণ পূর্বেই তিনি এ পথ দিয়ে গিয়েছেন । তারপর এই রাষ্ট্রদূত পথ ধরে কিছুদূর গিয়ে দেখলেন যে , একটি গাছের ছায়ায় একজন লোক লোক উদোম মাটিতে শুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছেন । পরে রাষ্ট্রদূত খোঁজ নিয়

লালবাগ কেল্লা, স্মৃতিময় এক ঐতিহ্য

ছবি
আব্দুর রহমান আল হাসান স্মৃতি বিজড়িত এই লালবাগের কেল্লা । একেবারে ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত এটি । এর আদি নাম ঔরঙ্গবাদ কেল্লা । এটা নির্মাণ করা হয় মোগল আমলে । তখন মোগল বাদশাহ ছিলেন সম্রাট আরঙ্গজেব এবং এই কেল্লা নির্মাণ করা হয় ১৬৭৮ খৃষ্টাব্দে । এর নির্মাতা হলেন সম্রাট আরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহম্মাদ আজম । কিন্তু তিনি এর নির্মাণ কাজ সম্পূন্ন করতে পারেন নি । পরবর্তীতে এর কাজ সমাপ্ত করেন সুবেদার শায়েস্তা খাঁ । আর এই দুজনেই ছিলেন ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মোগল প্রশাসক । বর্তমানে এর পূর্ব - পশ্চিমে দৈঘ্য হলো ৩২৯ . ৭ মিটার এবং উত্তর - দক্ষিণে চওড়া হলো ২৪৩ . ৮ মিটার । তবে আগে চওড়াও ছিল ৩২৯ . ৭ মিটার । আর এটার প্রধান ফটক ছিল দক্ষিণ - পূর্ব কোণে । আমরা এখন যেই ফটক দিয়ে কেল্লায় প্রবেশ করি তা এর মূল ফটক নয় । আমরা যদি রাস্তার দিক থেকে এই ফটকের দিকে মুখ করে দাঁড়াই তাহলে একটু দূরেই আমাদের বামপাশে একটা ফটক দেখতে পাবো সেটাই হলো লালবাগ কেল্লার মূল ফটক । জানা যায় , এই