অচেনা আগন্তুক - হাবিবুল্লাহ বাহার
রাফি নামে এক যুবক থাকত আমাদের গ্রামে । খুবই ভদ্র। আমরা যখন মাঠে গিয়ে খেলতাম তখন মোবারক নামের এক চাচা আমাদের খুবই বকতেন। মাঝে মধ্যে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতেন। রাফি তখন বলত , আহা চাচা! তারা খেলুক না , আপনার তো কোন সমস্যা হচ্ছে না । তখন চাচা কিছুই বলতেন না। চুপ হয়ে যেতেন। কারণ , সেই ব্যক্তি ছিলেন রাফির আপন চাচা। যখন তার তিন বছর বয়স তখন তার মা মারা যায়। তার বাবা থাকতেন অষ্ট্রেলিয়ায়। তাই তার চাচারা তাকে লালন পালন করতেন। তবে মোবারক চাচা তাকে সবচেয়ে বেশি লালন-পালন করেন। যখন তার বয়স নয় বছর , তখন তার বাবা বিদেশ থেকে দেশে আসার জন্য রওয়ানা হন। আসার পথে বিমান দুর্ঘটনায় তিনিসহ আরো তিনশত যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন। রাফির বয়স এখন ২২ বছর। তার চাচা রোকেয়া নামের একটি মেয়ে সাথে রাফির বিয়ে ঠিক করেন। পরবর্তীতে বিয়েও হয়। বিয়ের একদিনের মাথায় রাফির সাথে তার স্ত্রীর প্রচন্ড ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়ার কথা তার স্ত্রী তার বান্ধবীদের বলে। সাথে আরো কিছু বানিয়ে যোগ করে। তখন তার বান্ধবীরা তাকে কু-বুদ্ধি দেয় , ' তোর স্বামীকে রাতের খাবারে বিষ দিয়ে মেরে ফেল ' । রোকেয়াও তার স্বামীকে বিষপান করায়। এতে রাফি মারা যায়। রাফির দা